টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে বাসাইল উপজেলায় টেংগুরিয়া পাড়ায় অরক্ষিত রেলগেটগুলোতে গেটম্যান না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। সরেজমিনে দেখা যায় জেলার দেলদুয়ার-বাসাইল রোডে টেঙ্গুরিয়া পাড়ায় অরক্ষিত রেলগেট রয়েছে। সেই রেলগেটের দূ- প্রান্তে বড় এবং মোটা আকারে দুটি ভিট রয়েছে। যাহা যানবাহনের গতি হঠাৎ করে থামিয়ে দেয়। গেটের দু-প্রান্তে স্থানীয়দের বসতভিটা এবং গাছের লতাপাতা দিয়ে সড়কটি প্রায় ঢেকে গেছে। লতাপতার কারণে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ট্রেন আসলে বোঝার কোন উপায় নেই। এছাড়াও অরক্ষিত রেললাইনের পাশেই ছোট্ট একটি দোকান রয়েছে। রেলগেটের পাশেই স্থানীয় দোকানদার আব্দুল ওয়ারেছ মিয়া জানান,প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে পারাপার হয়। এছাড়াও রেলগেটের দু- প্রান্তে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়রা পারাপার হয়ে থাকে। তিনি বলেন আমি এই রেলগেটে প্রায় ৫ বছর ধরে দোকানদারি করছি। প্রায় সময়ই দোকানদারি ছেড়ে রেলগেটের গেটম্যানের দায়িত্ব পালনও করেছি। তিনি বলেন ট্রেন যখন কাছাকাছি চলে আসে তখন ট্রেনের শব্দ জরে শোনা যায় না। সে সময় যানবাহনের শব্দ এবং ট্রেনের শব্দ এক হয়ে যায়। । যার প্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলকারীরা শব্দ শুনতে পায় না। সে সময় দৌড়ে এসে গেটম্যানের কাজ করি। এক সময় নিয়মিত ট্রেন আসার সময় হলেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। এখন অতটুকু করতে পারিনা শরীরের ভারে। তিন আরো বলেন দোকানের পাশে প্রায় সময়ই মানুষ থাকে। তাদের দিয়েও অনেক সময় গেটম্যানের কাজ করাই। তিনি মনে করেন আমাদের এই এলাকায় অরক্ষিত রেলক্রসিং এ দ্রুত গেটম্যানের দাবি পূরণ করবেন সরকার । টেংগুড়িয়া পাড়ার দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার টেঙ্গুরিয়া পাড়ার বিশাল একটি অংশে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাহা হাবলা টেংগুরিয়া পাড়া ফাজিল মাদ্রাসা, টেংগুরিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুল্লাহেল কাফি আল কোরাইশি দারুণ হাদিস একাডেমি, আব্দুল হাই হাফিজিয়া মাদ্রাসা, আব্দুল্রাহেল বাকি উচ্চ বিদ্যালয়, ও হাবলা ছালাফিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মন্ডলী এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন। যার প্রেক্ষিতে ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকরা এবং শিক্ষকমন্ডলীরা আতঙ্কিত থাকেন। তাই সরকারের কাছে আমার দাবি এই জায়গায় দ্রুত একটি গেটম্যান দেওয়ার জন্য। স্থানীয় মেনহাজ উদ্দিন বলেন এই অরক্ষিত রেলগেটে দু প্রান্তে দুটি বিট থাকায় যানবাহনের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার প্রেক্ষিতে মানুষের জানমালের কিছুটা হলেও নিরাপত্তা মনে করে তিনি। রেল লাইনের কর্মচারী রুবেল মিয়া বলেন বাসাইলের হাবলা ইউনিয়নের টেঙ্গুরিয়া পাড়া থেকে ৬ কিলোমিটার এলাকার জুড়ে দেখ ভালের কাজ করে থাকি। সে হিসাবে তিনি মনে করেন এই ছয় কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অরক্ষিত রেল ক্রসিং রয়েছে। যাহা বাসাইলের টেংগুড়িয়া পাড়া, পাটখাকুরি ও সোনালিয়ায়। এই তিনটিতে দ্রুত গেটম্যান প্রয়োজন বলে মনে করেন। স্থানীয়রা বলেন এই দেলদুয়ার -বাসাইল সড়কে বাসাইল, সখীপুর, টাঙ্গাইল সদর, দেলদুয়ার এবং মির্জাপুর উপজেলার লাখো লাখো মানুষ প্রতিনিয়তই চলাচল করে থাকে। তাই দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও এই সড়কে বেশি থাকে।