ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. ই-পেপার
  4. ইউনিকোড কনভাটার
  5. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  6. ইনতিজার শিশুবৃত্তি
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. দেশজুরে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রযুক্তি
  15. ফিচার

ওমরাহ করলে কি হজ ফরজ হয়ে যায়?

প্রতিবেদক
intizarbd
জুলাই ৩১, ২০২৫ ১:৫৮ অপরাহ্ণ

আমাদের দেশে একটি প্রচলিত ধারণা হলো, ওমরা করতে গেলে বা কাবা দেখলে হজ ফরজ হয়ে যায়। এ ধারণা সঠিক নয়। ওমরাহ করার সাথে হজ ফরজ হওয়ার সম্পর্ক নেই, বরং হজ ফরজ হওয়ার সম্পর্ক হলো হজ করার সামর্থ্যের সাথে। জীবনে একবার হজ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপরই ফরজ যদি তার হজ করার সামর্থ্য থাকে।

হজের মৌসুমে হজে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে তার ও পরিবারের লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকলে এবং দৈহিকভাবে হজ করার সক্ষমতা থাকলে হজের সামর্থ্য প্রমাণিত হয় ও হজ ফরজ হয়।

বর্তমানে ওমরাহর খরচ আর হজের খরচ এক রকম নয়। ওমরাহর ভিসায় মক্কায় গিয়ে হজের জন্য থেকে যাওয়াও নিষিদ্ধ। হজের সফরের সময় ও ধরনও ওমরাহর সফরের মতো নয়। তাই ওমরাহ করতে গেলেই হজ করার সামর্থ্য প্রমাণিত হয় না। তাই ওপরে যেমন বলেছি, ওমরাহ করলেই হজ ফরজ হবে না। হজ করার সামর্থ্য অর্জন করলে হজ ফরজ হবে।

উল্লেখ্য, কারো যদি কাবায় পৌঁছার সামর্থ্য থাকে কিন্তু তার হজের সফরের সময় পরিবার-পরিজনের দেখাশোনা ও ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা না থাকে, তার ওপর হজ ফরজ হবে না। একইভাবে কারো যদি হাত, পা, চোখ ইত্যাদি অঙ্গের কোনোটি বিকল হয় বা কেউ যদি একা চলাফেরা কতে সক্ষম না হয়, তার ওপরও হজ ফরজ হবে না।

নারীদের ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য হজের সফরে তার সাথে যাওয়ার মতো মাহরাম ব্যক্তি থাকাও জরুরি। মাহরাম না থাকলে সম্পদশালী নারীর জন্য নিজে গিয়ে হজ করার আবশ্যকতা থাকে না। কোনো নারীর কাছে যদি শুধু নিজের হজে যাওয়ার মতো সম্পদ থাকে, কোনো মাহরামকে নিয়ে যাওয়ার মতো সম্পদ বা সুযোগ না থাকে, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ নয়।

হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। তাই সামর্থ্য থাকলে অযথা অবহেলা বা দেরি না করে দ্রুত হজ করে ফেলা উচিত। আল্লাহ বলেছেন,

اِنَّ اَوَّلَ بَیۡتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیۡ بِبَکَّۃَ مُبٰرَکًا وَّ هُدًی لِّلۡعٰلَمِیۡنَ فِیۡهِ اٰیٰتٌۢ بَیِّنٰتٌ مَّقَامُ اِبۡرٰهِیۡمَ وَ مَنۡ دَخَلَهٗ کَانَ اٰمِنًا وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ

নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হিদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য। তাতে রয়েছে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ, মাকামে ইবরাহিম। আর যে তাতে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ হয়ে যাবে এবং সামর্থ্যবান মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ। আর যে কুফরি করে, তবে আল্লাহ তো নিশ্চয় সৃষ্টিকুল থেকে অমুখাপেক্ষী। (সুরা আলে ইমরান: ৯৬, ৯৭)

সর্বশেষ - দেশজুরে