টাঙ্গাইলে শিল্পীর হাতের নিপুন ছোয়ায় ফুটে উঠছেন দেবী দুর্গা ও তার সন্তানেরা
বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী ,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয দুগোর্ৎসব। সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও চলছে দুর্গা পুজা আয়োজনের ব্যাপক প্রস্ততি। প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। শিল্পীর হাতের নিপুন ছোয়ায় ফুটে উঠছেন দেবী দুর্গা ও তার সন্তানেরা। একই সাথে চলছে মন্ডব সাজসজ্জার কাজ। দুর্গা পুজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চমী পুজার মধ্যদিয়ে সারাদেশে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবল্বীদের প্রধান ও বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয দুর্গা পুজা। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলেও ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীজের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হবে দুর্গা পুজা। এ লক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি। জেলার ১২টি উপজেলায় এবার সম্ভাব্য ১ হাজার ২শত ২০ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গা পুজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। প্রতিদিন একটু একটু করে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্দিরে ও শিল্পীদের কারখানায় প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীনভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে শিল্পীরা কাজ করছেন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ইতোমধ্যে সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির মূল উপাদান মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে গেছে প্রতিমার কাঠামো। এখন চলবে প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোয়ায় পরিস্ফুটিত হবে দেবী দুর্গা ও তার ছেলে-মেয়ে লক্ষী, সরস্বতী, গনেশ ও কার্তিক। প্রতিমা শিল্পীরা জানান, তারা একেকজনে একাধিক প্রতিমা তৈরী করছেন। ছোট, বড় বিভিন্ন সাইজের প্রতিমা বিক্রী করে তারা লক্ষাধীক টাকা আয় করছেন। লাভ-লোকসান যাই হোক বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই তারা আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরী করেন। প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীনভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরীর সবকাজ শেষ করে কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি পুরোদমে এগিয়ে চলছে মন্ডপ তৈরী ও সাজ-সজ্জার কাজ। পুজারীদের মধ্যে চলছে মন্ডপ তৈরী ও সাজ-সজ্জার কাজ নিয়ে এক প্রকার প্রতিযোগিতা। কোন মন্ডপের সাজ-সজ্জা সবচেয়ে ভালো হবে তা নিয়ে চলছে বিশ্লেষন। টাঙ্গাইল জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু বলেন, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে সবকিছু মিলিয়ে জেলার পুজা মন্ডপগুলোতে চলছে শারদীয় আমেজ। পুজা মন্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিরাপত্তা থাকবে। আশা করছি কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পুজা শেষ করতে পারবো। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পুজার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। এবার জেলার পুজা মন্ডপগুলোতে ৯শ’ ৫০ জন আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।’
সকলের প্রানবন্ত অংশগ্রহনে প্রতি বছরের মতো এ বছরও উৎসবমুখর এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে শারদীয় দুগোর্ৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

















