ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার, ডুবাইল ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের আবুল কালামের নাবালিকা কন্যা (১৩) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষকের নাম হুমায়ুন কবির (৫৭)। ধর্ষিতার মৌখিক বয়ানে জানা যায়, শিশুটি বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময়, উৎপেতে থাকা ধর্ষক হুমায়ুন কবির গত ০৩/০৪/২০২৫ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় জোর পূর্বক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষক তার নীজ মুরগীর খামার ঘরে নিয়ে গিয়ে ছিটকিনি লাগিয়ে দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষক মেয়েটির মুখে তার নিজের উড়না দিয়ে মুখ বেঁধে এই অপকর্মটি করে বসে এবং ধর্ষিতাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে উক্ত বিষয়টি গোপন রাখতে ভীতি প্রদর্শন করে। এমন অবস্থায় নাবালিকার বড় চাচা দেখে ফেললে, মেয়েটি তার সাথে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনার কথা সবিস্তারে জানিয়ে দিলে, গ্রাম্য সালিশে ধর্ষক ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান অভিযুক্তকে দেলদুয়ার থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত গ্রেফতার করলেও, আইনের ফাঁক ফোকরে ধর্ষক জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সমাজ সচেতন মহল মনে করেন, উক্ত অপরাধে অপরাধী জামিনে মুক্ত পাউয়া মানেই হচ্ছে পুরো সমাজের নিরাপত্তা ও ন্যায়বোধকে চরমভাবে আঘাত করার শামিল। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ বর্ণী গ্রামবাসীর ও ছাত্র জনতার উদ্যোগে ধর্ষকের জামিন বাতিলসহ অবিলম্বে ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থার জন্য ০৫দফা দাবি পেশ করেন। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আবেদন করা হয়। অপরাধী জামীন অযোগ্য অপরাধে জামীন প্রাপ্ত হয়ে খোলা বাতাসে ঘুরে বেড়াবে আর ভিক্টিম লজ্জায় মুখ লুকিয়ে কাঁদবে। এমনটা সচেতন সমাজ কামনা করেনা।যা পরিবার,সমাজ,দেশ তথা আইনগত অবকাঠামোর জন্য হুমকী স্বরুপ। আন্দোলনকারীরা এই ঘৃনিত অপরাধের জন্য ন্যায্য এবং দৃষ্টান্ত মুলক বিচার দাবি করে ধর্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।