ঢাকাবুধবার , ১৩ আগস্ট ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. ই-পেপার
  4. ইউনিকোড কনভাটার
  5. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  6. ইনতিজার শিশুবৃত্তি
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. দেশজুরে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রযুক্তি
  15. ফিচার

এক বছরে বিজিবির অভিযানে জব্দ হাজার কোটি টাকার মাদক

প্রতিবেদক
intizarbd
আগস্ট ১৩, ২০২৫ ৭:৩২ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার ও বান্দরবানের সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) মতো মাদক পাচার বন্ধ হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযান ও বিজিবির নজরদারি এড়িয়ে দেশে ঢুকছে এসব মাদক। গত এক বছরে সীমান্ত এলাকায় কেবল বিজিবি ১ হাজার ৩২১ কোটি টাকার মাদক জব্দ করেছে।

পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে নাফ নদীর ৮৪ কিলোমিটার জলসীমানা রয়েছে। দুর্গম এসব স্থান দিয়ে ইয়াবা, আইসের পাশাপাশি অস্ত্র-গোলাবারুদ আসছে। কিছু মাদক ও অস্ত্রের চালান ধরা পড়লেও অধিকাংশ পার পেয়ে যাচ্ছে।

মাদক ও অস্ত্র পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে নারী ও তরুণদের। গত ২৮ জুলাই দুপুরে রামুর ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গোয়ালিয়া চেকপোস্টে একটি অটোরিকশা থামিয়ে ৩০ লাখ টাকা দামের ১০ হাজার ২০০টি ইয়াবা উদ্ধার করেন। এ সময় ইয়াবা পাচারের অভিযোগে নাজুমা বেগম (৩৫) নামের একজন রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ২০ জুলাই সকালে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা প্রায় এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও একটি বিদেশি পিস্তলসহ মো. শফিক (২৬) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে।

বিজিবির পাশাপাশি র‍্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানেও বিভিন্ন সময় মাদকের চালান ধরা পড়েছে। এরপরও বন্ধ হয়নি পাচার।

জব্দ করা মাদক ধ্বংস

গত এক বছরে উদ্ধার করা ১ হাজার ৩২১ কোটি ৯০ লাখ ৫৯ হাজার ১১৬ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি। আজ বুধবার দুপুরে বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কার্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে বুলডোজার চালিয়ে এসব মাদক ধ্বংস করা হয়।

ধ্বংস করা মাদকের মধ্যে রয়েছে ২ কোটি ৩৩ হাজার ৯৪৯টি ইয়াবা, ১৪০ কেজি ৪৯ গ্রাম আইস, ৬১ হাজার ৪৯১টি বিয়ার ক্যান, ২২ হাজার ১৫৫ বোতল বিদেশি মদ, ২৬ কেজি হেরোইন, ১৬৯ বোতল ফেনসিডিল, ৫২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৮০০ লিটার বাংলা মদ, ১৯২ ক্যান কমান্ডো এনার্জি ড্রিংক, ৫৪০ কৌটা বার্মিজ জর্দা, ৪ কেজি ৪০৫ গ্রাম কোকেন, ২ বোতল হুইস্কি, ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪২ প্যাকেট সিগারেট ও ৪ কেজি আফিম।

মাদক ধ্বংসের অনুষ্ঠানে বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আকসার খান বলেন, বিজিবি সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নির্মূলে কাজ করছে। বিপুল পরিমাণ মাদক, অস্ত্র, চোরাইপণ্যসহ কারবারিদের গ্রেপ্তার করলেও চোরাচালান ঠেকানো যাচ্ছে না। মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাদকপ্রবণ এলাকায় সব শ্রেণি–পেশার নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সর্বশেষ - দেশজুরে